জেলের মধ্যেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তার পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল গ্যংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারির। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জেলবন্দি মুখতারকে গাজিপুরের বান্দা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত মঙ্গলবারও পেটের যন্ত্রণায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মুখতারের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে জেলের মধ্যেই মেরে ফেলা হয়েছে।
জেল সূত্রে খবর, রমজানের উপবাস ভঙ্গ করার পরেই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বান্দা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কৌশল জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে মুখতারের। যদিও মুখতারের ভাই গাজিপুরের সাংসদ আফজল আনসারি অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর দাদাকে জেলের মধ্যেই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। মুখতারের অনুগামীরা তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়। ৬০ বছর বয়সি মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ সদর বিধানসভার পাঁচ বারের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবের জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বান্দা জেলে বন্দি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত বছর যে ৬৬ জন গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করেছিল তাতেও নাম ছিল মুখতারের। সম্প্রতি ৩৬ বছর পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মুখতার। সেই মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।