বিজেপি ওয়াশিং মেশিনের কেরামতি। দুর্নীতির দাগ নিমেশেই সাফ! আর যদি থাকে ‘মোদি ওয়াশিং পাওডার’ তাহলে তো কোনও কথায় নেই। বিরোধী নেতাদের উপর যতই দুর্নীতির অভিযোগ থাকনা কেন, পদ্মশিবিরে যোগ দিলেই সব দুর্নীতির দাগ সাফ হয়ে যাবে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে এই ভাষাতেই বিঁধল কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেস সদর দপ্তরে আস্ত ‘ওয়াশিং মেশিন’ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেলন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির কাছে এমন একটি ওয়াশিং মেশিন রয়েছে, যাতে ১০ বছরের পুরনো মামলা দিলেও অভিযুক্ত অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসে। মেশিনের পাশাপাশি রয়েছে ‘মোদি ওয়াশিং পাউডার’। বিরোধী নেতাদের ভয় দেখাতে সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খেরা। সদ্য এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলেছে। ওই বিষয়টি উল্লেখ করে খেরা বলেন,‘এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তিনি যখন এনসিপি ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, তখন তাঁর দুর্নীতির সব দাগ পরিষ্কার হয়ে গেল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মারও একই গল্প।’
এদিন সাংবাদিকে বৈঠকে পবন খেরা দাবি করেন, ৫১ জন বিরোধী নেতার কথা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পদক্ষেপ নিয়েছে। শাসক বিজেপি ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন। তথ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, মকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত শর্মা, নারায়ন রাণে, অজিত পাওয়ার, মিঠুন চক্রবর্তী, শোভন চ্যাটার্জি, অশোক চহ্বন, হাসান মুশরিফ, ছগন ভুজবলদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিও সক্রিয় হয়েছিল। বিজেপিতে তারা যোগ দিতেই ওয়াশিং মেশিনে সব দুর্নীতি সাফ হয়ে গেছে! পবন খেরার কটাক্ষ,‘ওয়াশিং মেসিন কেবল সাফাই করেনা, স্পিন বাটন অন করলে দুর্নীতিবাজ নেতা দেশভক্ত হয়ে যান। আর স্লো বাটনে তদন্ত ধীর গতিতে চলে। এটা মেসিনের জাদুই বটে! এই জন্য একে জাদু মেশিনও বলা যেতে পারে।’ এদিনই কংগ্রেস নেতা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,‘কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার হচ্ছে এবং আধিকারিকদের কাঠপুতলি হয়ে কাজ করছেন। মনে রাখবেন কাউকেই রেয়াত করা হবে না। সরকার বদল হতে দিন, তারপর ওই আধিকারিকদের কাঠগড়ায় তোলা হবে।’ ২০১৪ সালে মোদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা।’ সেই বক্তব্য তুলে ধরে কংগ্রেসের কটাক্ষ এখন মোদির স্লোগান,‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, অগর বিজেপিতে জয়েন করো, তো কেস রফা-দফা কর দুঙ্গা।’