বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ করতে গিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্গত কুলপিতে সভা করতে গিয়ে বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষের সুরেই অভিষেক প্রস্তাব দেন, ‘‘বিজেপি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী পাচ্ছে না! চারটি কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। আমি বলব, মেঘের আড়াল থেকে খেলে লাভ নেই। ইডি, সিবিআই, এনআইএ এবং ইনকাম ট্যাক্সের ডিরেক্টরকে ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থী করে দিন। ওঁরা অনেক তল্পিবাহকতা করেছেন। মেঘনাদের মতো মেঘের আড়ালে না থেকে এ বার আসুন জনতার দরবারে, লড়াই হোক।’’
বিজেপি এখনও রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। তার মধ্যে অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার ছাড়াও রয়েছে বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম।
মথুরাপুর লোকসভায় তৃণমূল এ বার প্রার্থী করেছে তরুণ নেতা বাপি হালদারকে। গত তিন বারের সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়াকে শারীরিক কারণে আর টিকিট দেয়নি দল। কুলপির সভা থেকে মথুরাপুরের ব্যবধানও বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। গত বার তিন লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন জাটুয়া। এ বার বাপির ব্যবধান সাড়ে তিন লক্ষ করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সেনাপতি। সেই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেছেন, ‘‘তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে ২০০১ সালে জেলার ২৮টির মধ্যে ১৪টি জিতেছিল জোড়াফুল। তার পর ২০০৮ সালের পঞ্চায়েতে জেলা পরিষদ জিতে এই জেলাই পরিবর্তনের সূচনা করেছিল। যত দিন গিয়েছে, তৃণমূল তত এই জেলায় বেশি বেশি করে শক্তিশালী হয়েছে। এ বারেও তার প্রমাণ দিতে হবে।’’ নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়নের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, ‘‘আমি কথা দিয়ে গেলাম, ডায়মন্ড হারবারের মতো করেই মথুরাপুরেও উন্নয়ন করব। সে দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’’