হাজী মহম্মদ মহসিন ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার একজন প্রখ্যাত জনহিতৈষী, ধার্মিক, উদার ও জ্ঞানী ব্যক্তি, যিনি তাঁর নিজের দানশীলতা ও মহৎ গুণাবলীর জন্য দানবীর খেতাব পেয়েছিলেন। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন। এই বিপুল সম্পত্তি তিনি শিক্ষা,চিকিৎসা সেবা এবং দরিদ্র মানুষের দুর্দশা ও দারিদ্র দূরীকরণের জন্য ব্যয় করেছিলেন। তাঁর এই দানশীলতা তাঁকে কিংবদন্তি তে পরিণত করে। হুগলি মহসিন কলেজ এবং হুগলী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় মহসিনের ওয়াকফকৃত অর্থে।
প্রতি বছর ১ লা আগস্ট হাজী মহম্মদ মহসিনের জন্মদিন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধিনস্ত সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এই অনুষ্ঠানে নিগম মহসিন এনডাউমেন্ট ফান্ডে গচ্ছিত অর্থ থেকে সারা রাজ্যের ১০০ জন কৃতি মুসলিম ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তি বা স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। চলতি বছরের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে।
বৃহস্পতিবার উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আগামী প্রজন্মকে আরো বেশি আধুনিকতার ছোঁয়ার পাশাপাশি পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখে এগিয়ে চলার সুপরামর্শ দেন রাজ্য সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানগরী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সবসময় সমাজের সর্বস্তরের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য উদারহস্তে পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। নিজেদের স্বাবলম্বী করে মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে তোমরাই পারবে তাই অন্যের কথায় কান না দিয়ে লক্ষ্যকে স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই মূল কাজ। যা তোমরাই পারবে আগামী দিশা দেখাতে।। ববি হাকিমের উজ্জীবিত বক্তব্যে হাততালি রোল ওঠে অডিটোরিয়াম জুড়ে। বৃত্ত নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা দপ্তরের প্রধান সচিব পিবি সেলিম উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনার সাথে সাথে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞকে সাধুবাদ জানায়।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন,রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, মন্ত্রী জাকির হোসেন, সাংসদ খলিলুর রহমান,অতিরিক্ত সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান,বিশেষ সচিব শাকিল আহমেদ,এনাউর রহমান, সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান, বিধায়ক মোশারফ হোসেন, উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ,সাবির গফফার, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ডঃ আবু তাহের কামরুদ্দিন,সেখ আব্দুল মান্নাফ আলি প্রমুখ।