ওড়িশা বাজারে যত আলু বিক্রি হয়, তার একটা বড়ো অংশ বাংলার আলু। কিন্তু সেই বাংলার আলু এবার ত্যাগ করতে চলেছে ওড়িশা সরকার। মূল অভিযোগ, সীমান্তে শাসক দলের নেতা কর্মীদের দাদাগিরি ও তোলাবাজি। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার বিজেপি সরকারের খাদ্য সরবরাহ এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র পাত্র বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে ওড়িশা যদি বাংলার থেকে আলু আমদানি বন্ধ করে দেয়, তা হলে বাংলার জন্যে একটা বড় ধাক্কা হতে চলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওড়িশার বিজেপি সরকারের খাদ্য সরবরাহ এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র পাত্র আলু আমদানি প্রসঙ্গে বলেন, এবার থেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ওড়িশা আলু নেবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ক্রমেই আলু আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাজ্যের সীমান্তে তৃণমূলের গুন্ডারা তোলাবাজি করে এবং ব্যবসায়ী এবং ট্রাকচালকদের হেনস্থা করে। এরফলে আলু আমদানিকারী সংস্থাগুলো খুবই সমস্যায় পড়ছে। ট্রাক চালকরা আর বাংলা সীমান্ত দিয়ে আসতে চাইছে না। সম্প্রতি ওড়িশার বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক চিঠিতে লেখেন, বৃষ্টির জেরে ওড়িশার বাজারে আলুর যোগান কিছুটা কম রয়েছে।
এই আবহে কৃত্রিম ভাবে ওড়িশার বাজারে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এদিকে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে আলুর ট্রাকের লম্বা লাইন রয়েছে। এই আবহে মমতার হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন নবীনবাবু। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে বাংলাতেও আলুর দামে আগুন লাগে। তবে ধর্মঘট উঠলেও আলুর দাম সেভাবে কমছে না খুচরো বাজারে। অভিযোগ, খুচরো ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে আলুর দাম কমাতে চাইছেন না। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে নাকি আবার ভুটানের থেকে আলু এসে বাজার ভরেছে। এর জেরে রাজ্যের আলু চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। ভুটান আলুর দাম কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা। এই দুটো কারণেই ওড়িশা মুখ ফিরাচ্ছে বাংলা থেকে।