মালদার গাজোলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন।কিন্তু স্কুলে আসার কোন সময় সীমা নেই শিক্ষকদের। পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন স্কুলে । কিন্তু তারা কোনদিনই সঠিক সময় স্কুলে আসেন না। যার ফলে লাটে উঠেছে স্কুলের পড়াশোনা। গ্রামীন এলাকার মানুষদের কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে এদিন হঠাৎ স্কুলে হাজির হয়ে যান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পৌনে বারোটা নাগাদ আসেন একজন শিক্ষক।
তার কিছুক্ষণ পর আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।সভাপতিকে কাছে পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য – বছর ছয়েক ধরে স্কুলের বেহাল অবস্থা। শিক্ষক – শিক্ষিকারা কোনদিনই সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। একসঙ্গে পাঁচ জনকে স্কুলে সঠিক সময়ে আসতে দেখা যায় না কোনদিনই। শিক্ষক শিক্ষিকারা কবে কে আসবে তা পালা করে স্কুল চালান এমনই অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা।
স্কুলে লেখাপড়া তেমন নেই বললেই চলে। কোন রকমে মিড ডে মিল খাইয়ে ছুটি দিতে পারলে যেন বাঁচেন তারা। যার ফলে সরকারি স্কুলে পড়াশোনা লাটে উঠেছে ছেলেমেয়েদের । কষ্ট হলেও টাকা পয়সা খরচ করে বেসরকারি স্কুলে পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। স্কুলে যাতে ঠিকভাবে পড়াশোনা হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন বলে জানান।এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধেঅনেক অভিযোগ পেলাম, আমি নিজেও এসে দেখলাম,মিটিং ডাকা হবে আগামী দিনে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।