রবিবার বন্যা নিয়ে ঘাটালে প্রশাসনিক মিটিং করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরি। প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করে রবিবার জেলাশাসক ঘাটাল ব্লকের মনশুকাতে বন্যা পরিদর্শনে যান। জেলাশাসক বলেন প্রশাসন একশভাগ প্রস্তত। তবে বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, মুখ্যমন্ত্রীও নজর রাখছেন। মানুষজনকে যদি সরানোর প্রয়োজন হয় তার জন্য রিলিফ সেন্টার প্রস্তুত আছে।
যদি কোন প্রয়োজন হয়, কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে বলেন জেলা শাসক। কন্ট্রোলরুমের ফোন নাম্বার হল ০৩২২৫ ২৫৫১৪৫। যেহেতু জল এখনও আছে তাই ছোটদের কে ঘরের মধ্যে রাখুন। মাইক প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করার প্রয়োজন এখনো নেই, যদি প্রয়োজন হয় তা করা হবে। জেলাশাসকের সাথে ছিলেন ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী সর্দার, সহকারী সভাপতি বিকাশ কর সহ অন্যান্যরা। নিম্নচাপের জেরে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের মনশুকাতে ঝুমি নদীর জল বেড়েছে। ভেসে যায় ওই নদীর উপর সাতটি বাঁশের সাঁকো। পাশাপাশি রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়। ঝুমি নদীর জল এখন কমতে শুরু করেছে।
তবে কিছুটা জল বেড়েছে শিলাবতী নদীর। ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডের নিচু এলাকা গুলি জলে প্লাবিত হয়েছে। ওই সব এলাকার শাখা রাস্তা গুলিতেও জল উঠেছে।
মানুষজন জল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন। এখনো পর্যন্ত শিলাবতী নদীতে জল বিপদ সীমার নিচে বইছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগ জনক নয়। তবে যদি বেশি বৃষ্টি হয় বিশেষ করে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতে এবং বিভিন্ন জলধার থেকে জল ছাড়া অব্যাহত থাকে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার জন্য প্রশাসন ১০০ ভাগ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।