আধুনিক বিশ্বে পেট্রোলিয়ামকে বলা হয় ‘তরল সোনা’। বিশ্বের বহু জায়গায় মাটির তলায় সঞ্চিত আছে প্রচুর পরিমানে এই তরল সোনা ও পেট্রোলিয়াম গ্যাস। বেশ কয়েক বছর আগেই গবেষণায় উঠে এসেছিলো দক্ষিণবঙ্গের অশোকনগরে মাটির তলায় আছে বিপুল পরিমানে পেট্রোলিয়াম। কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের অভাবে সেই গবেষণার কাজ খুব বেশি এগোয়নি।
এবার আবার সামনে আসলো আরো অনেক সম্ভাবনার কথা। বিশেষজ্ঞারা বলছেন, উঃ ২৪ পরগনার অশোকনগর ও সংলগ্ন এলাকায় যে তেল ও গ্যাস আছে, তা বাণিজ্যিক ভাবে উত্তোলন করা সম্ভব হলে বদলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক অর্থনীতি। কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ের অভাবে তা করা যাচ্ছে না। তেলের জন্য ড্রিলিংয়ের অনুমতি রাজ্য দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় সাইসমিক সার্ভে করেছে ওএনজিসি। তারা খুবই আশাবাদী। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের অন্তত চারটি জায়গায় তেল ও গ্যাসের ভান্ডার থাকার সম্ভাবনা আছে।
সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলেছেন, অশোকনগর-১ (তেল ও গ্যাস), অশোকনগর-২ (গ্যাস), কনকপুল-১ (গ্যাস), পাটুলি-১ (হাইড্রোকার্বন) ছাড়া অশোকনগর-১ ও কনকপুল-১-এলাকায় মাটির নীচে হাইড্রোকার্বনের ভান্ডারও রয়েছে। গ্যাসের ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে রানাঘাট-২ এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি ইতিবাচক হলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের চেহারাই বদলে যেতে বাধ্য। এখন দরকার রাজ্যের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় সাহায্য। আমরা আশাবাদী যে, রাজ্যের স্বার্থে সমস্ত প্রতিবান্ধকতা দূর করে অচিরেই তেল ও গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু হবে আর অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের তরল সোনার মানচিত্রে আরো একটা নতুন নাম যুক্ত হবে – পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানাচ্ছে, দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়ায় অন্তত ১১ হাজার ৬১৫ বর্গ কিমি জুড়ে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা করেছে ওএনজিসি।