একদিকে বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে ভাগীরথী নদীতে বেড়েছে জলস্তর, অপরদিকে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আবারও নদীর পার ভাঙ্গনের কারণে আতঙ্কে রয়েছে নদীয়ার শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামচাঁদ ঘাটের প্রায় ৭০০ পরিবার। ইতিমধ্যে বিগত তিন দিন ধরে চলছে অতিবৃষ্টি, আর সেই কারণে একদিকে যেমন জল জমেছে চাষের জমিতে অপরদিকে বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে ভাগীরতি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর সেই কারণেই আতঙ্কে রয়েছে এলাকার বসবাসকারী প্রায় ৭০০ পরিবার। তারা জানাচ্ছেন এইভাবে ভাঙতে থাকলে আর কদিন পরে এই ভিটেমাটি পুরো নদীর জলে চলে যাবে। এ বিষয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান, পুরো নদীর পার বাঁধনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে ওইটুকু জায়গা বর্ষার কারণে কাজ করে ওঠা সম্ভব হয়নি বলে এই ভাঙ্গন। তবে অতি দ্রুত এই পার বাঁধানোর কাজ শুরু হবে এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু হবে।
একটু জল কমলে এবং বৃষ্টি কমলেই এই কাজ পাকাপোক্তভাবে করে দেয়া হবে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকার একাংশ মানুষের এখন একটাই চিন্তা নতুন করে আবার যদি প্রবল বৃষ্টি নামে তাহলে জলস্তর বাড়বে, আর জলের স্রোতের কারণে কখন যে ভাঙ্গন শুরু হবে তা তাদের কাছে অজানা। তবে সেই দুশ্চিন্তাতেই এখন রাতের ঘুম উড়েছে তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারীদের।