পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার তুফানগঞ্জ সালমারার নির্যাতিতা তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সংগঠনের কর্মীর সাথে দেখা করতে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, কিন্তু তার আগেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মহিলা। কিভাবে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল শিবির থেকে।
বলা বাহুল্য, শনিবার একটি অভিযোগ ওঠে যার দরুন জানা যায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বিধবা তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সংগঠনের কর্মী পূজা আচার্যের সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাস চালিয়ে যান। পরবর্তীতে সম্পর্ক অস্বীকার করলে, দুই সন্তান নিয়ে পূজা বিশ্বজিৎ সাহার বাড়িতে ধরনায় বসতে যায়। অভিযোগ সেই সময় তাকে দুই শিশুর সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটানো হয়।
যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করেছে রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে বক্সিরহাট থানায়। যা তদন্ত সাপেক্ষ বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূজা আচার্যের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার তার বাড়ি তুফানগঞ্জ সালমারাতে পৌঁছন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না। অভিজিত বাবু পরিষ্কার অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই বিজেপির বেশ কিছু নেতা স্থানীয় নেতা যারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা মহিলার বাড়িতে এসেছিল। মূলত তারপর থেকেই নিরুদ্দেশ রয়েছেন মহিলা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
একই সঙ্গে অভিজিৎ বাবু অনুরোধ করেছেন মহিলার প্রতিবেশীদের কাছে, তারা চুপ না থেকে বিষয়টির প্রতিবাদ করুক। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে অভিজিত বাবু স্পষ্ট কথায় জানিয়ে দেন, মহিলার বিরুদ্ধে সংক্রান্ত ঘটনায় আজ আরো একটি মামলা রুজু হতে চলেছে। সেই সঙ্গে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ সাহা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি কে আশ্রয় দিতে চাইবে তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা উৎপল দাস মন্তব্য করে বলেন, অভিজিৎ বাবুর কাছে হয়তো সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে, উনি ভালো বলতে পারবেন আমার কিছু বলার নেই।