ভালো হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর অঞ্চলে টাঙন নদী সংলগ্ন এলাকায় বাড়ছে আখের চাষ। এই এলাকার নদী সংলগ্ন বেলে দোআঁশ মাটিতে জল ধারণের ক্ষমতা অত্যন্ত কম। তাই ধান চাষ করা যায় না। বিকল্প হিসেবে পাট ও ভুট্টার মতো ফসল চাষ করা হত। তবে, লাভজনক হওয়ার কারণে পাট ও ভুট্টার বদলে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে আখ চাষে।
আখ মরসুমি ফসল হলেও এখন বাজারে সারাবছরই আখের রস বা জুস বিক্রি হয়। এই জুস বিক্রেতারাই সারাবছর প্রয়োজন অনুসারে সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেই পাইকারি দামে আখ কিনে নেয়। উৎপাদিত আখ বিক্রির কোন সমস্যা নেই এবং সারাবছরই নগদ টাকার যোগান আসছে বলেই রাধিকাপুর অঞ্চলের টাঙন নদীর সংলগ্ন গ্রামের কৃষকদের মধ্যে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আখ চাষে যুক্ত কৃষকেরা বলেন, বেলে দোআঁশ মাটিতে ধান হয় না। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে লাভ বেশি, তাই সকলেই কমবেশি নিজের জমিতে আখ চাষ করছে। এবছর সারে ৪ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। কার্তিক, অগ্রহায়ণ মাসে আখ চারা রোপণ করেছিলাম। আষাঢ় মাস থেকে ৯০০ টাকা কুইন্টাল দামে বিক্রি শুরু করেছি।