ভর সন্ধেই গৃহস্থ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা দুষ্কৃতীদের। বাড়ির দুই মহিলার কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সোনার গহনা ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুটপট করে ডাকাতের দল। যাওয়ার সময় ঘরে ছিটকিনি দিয়ে বন্দি করে রাখা হয় বাড়ির গৃহবধূ ও তার শাশুড়িকে, ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়ার চটকা তলা এলাকায়।
বাড়ির গৃহবধূ সীমা বসাকের অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় তার স্বামী বাপ্পি বসাক ও তার ছেলে বাড়িতে ছিল না সেই সুযোগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি বাইকে করে তিন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে আচমাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে, এরপর শাশুড়ি লক্ষ্মী রানী বসাক ও গৃহবধূ সীমা বসাকের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকাই। এরপর তাদের চোখের সামনে আলমারি ভেঙ্গে প্রায় ১০ ভরি সোনার গহনা লুটপাট করে, যদিও অন্য ঘরের শোকেস ভেঙে নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুটপাট করে দুষ্কৃতীরা। গৃহবধূ সীমা পোশাক ও তার শাশুড়ি চিৎকার করলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে নীরব হয়ে যায় দুজনেই, এরপর অবাধে লুটপাট করে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবেশী এক মহিলা ছুটে আসলে তাকেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয়।
তবে এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। এখনো চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ কাটেনি গৃহবধূ সীমা পোশাক ও তার শাশুড়ির। সূত্রে জানা গেছে,বাপ্পি বসাক তিনি একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী, সেই সুবাদে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যেবেলায় আচমকাই স্ত্রীর কাঁদো কাঁদো ফোন পেয়ে ছুটে আসে সে বাড়িতে, এসে দেখে সর্ব শান্ত এখন তারা। তবে বিষয়টি পুলিশকে জানালে বুধবার রাত্রি এগারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, এরপর গোটা ঘটনা খতিয়ে জানার চেষ্টা করে। এখন এটাই প্রশ্ন একটি জনবহুল এলাকায় ভর সন্ধ্যায় কি করে ডাকাতি ঘটলো।