‘ফিরে পাওয়া’ প্রকল্পে ১৭৫ জনকে হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার করে ফেরালো হাওড়া সিটি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মোবাইলগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হয় আসল মালিকদের হাতে। বিভিন্ন সময়ে যেসব মোবাইল ফোন হারিয়ে গিয়েছিল বা চুরি হয়েছিল এইসকল মোবাইলের মধ্যে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু ফোন যথাযথ যাচাইকরণের পর তা প্রকৃত মালিকদের হাতে এদিন তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এইসব ফোনগুলি উদ্ধার করে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশের তিনটি বিভাগ দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকৃত মালিকদের হাতে এই ফোন ফেরত দেওয়া হয়। এদিন সেন্ট্রাল ডিভিশনের অনুষ্ঠান হয় শিবপুর পুলিশ লাইনের কনফারেন্স হলে। উত্তর বিভাগের অনুষ্ঠান হয় ডিসি নর্থের কার্য্যালয়ে। এবং দক্ষিণ বিভাগের অনুষ্ঠান হয় ডিসি সাউথের কার্য্যালয়ে। এদিন হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে ১৭৫ জনকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
‘ফিরে পাওয়া’ কর্মসূচির আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে ওই মোবাইল তুলে দেওয়া হয়। এদিন শিবপুর পুলিশ লাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫০ জনের হাতে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল তুলে দেন হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সহ অন্যান্য পদস্থ কর্তারা। হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, গত ৩ মাসে বিভিন্ন থানা এলাকায় ওই মোবাইলগুলি হারিয়ে গিয়েছিল। সেগুলি উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন প্রথম পর্যায়ে ৫০ জনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও কয়েকদিনের মধ্যে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এদিন প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক বিষয়ের যেমন পজিটিভ দিক আছে তেমনই নেগেটিভ দিকও আছে।
সেই কারণে সোস্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিৎ। সবসময় মনে রাখা প্রয়োজন যেকোনও সময় যে কেউ প্রতারিত হতে পারেন। তার সম্ভবনাও থাকে। অনেক সময় অশ্লীল ভিডিও বা সেক্সটরশনের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করতে পারে। যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে থানায় বা সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ জানাতে হবে। অনেক সময় পরিবারের কাছে, সোস্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেল করে থাকে। এর জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুলিশ চেষ্টা করবে এই সমস্যা দূর করতে। যারা এই ধরনের কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।