বৃহস্পতিবার মুহূর্তে নিস্তব্ধ পাম অ্যাভিনিউ। চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছু বছর ধরেই, কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতেই পারছেন না রাজনৈতিক মহল থেকে বুদ্ধ বাবুর অনুরাগীরা। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসে সংক্রমণে ভুগছিলেন বুদ্ধবাবু।
বুধবার থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই যে তিনি পাড়ি দেবেন নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে তা কল্পনার বাইরে ছিল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালেও স্বাভাবিক ছিলেন, শেষ মুহূর্তে লড়াই ছাড়েননি, সেই স্মৃতি উঠে এল তাঁর পরিচারক হরেন অধিকারীর কথায়। জানা গেছে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রতিদিনের মতোই চা-বিস্কুট খেতে চেয়েছিলেন তিনি,দেওয়াও হয় সকাল ৭টা নাগাদ। এরপর জলখাবারও খান। এরপরই ওষুধ দেওয়া হয়। বেশ কিছু দিন ধরেই ওষুধ গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে দেওয়া হত। বৃহস্পতিবার তাই দেওয়া হয়। কিন্তু ওষুধ আর খেতে পারেননি, বের করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ফোন করা হয়। পরামর্শ মেনে বাইপ্যাপ দেওয়ায় হয়। চিকিৎসকও চলে আসেন। চিকিৎসক পৌঁছে দেখেন যে আর নেই। এক্সপায়ার করে গেছেন’।
বুদ্ধ বাবুর আকস্মিক প্রয়ানে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে বৃহস্পতিবার শোক মিছিল করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অপূর্ব চ্যাটার্জি বলেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা অবশ্যই শুন্যতার সৃষ্টি হলো। আমরা শোকাহত। আমরা বর্ধমান কার্জন গেট থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত একটা শোক মিছিল করলাম ।