শুক্রবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্য স্তরের বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে। ওই অনুষ্ঠানে তিনি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন, উপভোক্তা দের হাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা তিনি তুলে দেন। সেই সঙ্গে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী দের উন্নয়নে কি কি কাজ করা হয়েছে তাও তিনি তার ভাষণে তুলে ধরেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষনে ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা গঠিত হওয়ার পর ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বেলপাহাড়িতে সরকারি স্কুল, একাধিক কলেজ, লালগড়ের আমকোলা ঘাটে কংসাবতী নদীর উপর সেতু, কেশিয়াড়িতে সুবর্ণরেখা নদীর উপর জঙ্গল কন্যা সেতু, ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত, ঝাড়গ্রাম জেলা কালেক্টরেট তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম এর বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। পানীয় জল, স্বাস্থ্য, শিক্ষার, রাস্তাঘাট এর উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীর সংস্কার করা হয়েছে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে, ছেলে মেয়েদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই রূপায়ন করবো। প্রতি বছর একটু বৃষ্টি হলে ঘাটালের মানুষকে বন্যার কবলে পড়তে হয়। তাই রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্যান করবে।
যার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন হাতির হামলায় মৃত বাক্তির পারিবার এর একজন সদস্য কে চাকরি দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। জঙ্গলমহল কাপ খেলায় অংশ গ্রহনকারী সফল ছেলে মেয়েদের এবং মাওবাদী হামলায় মৃতদের পরিবারের এক জন সদস্য কে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী দের পাশাপাশি রাজবংষীদের উন্নয়নে ও রাজ্যসরকার কাজ করছে। তাই সকলকে তিনি শান্তি, শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান। এদিন সভায় প্রচুর মানুষের ভীড় হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে শেষ হয় বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান।