শুক্রবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। সেই সঙ্গে আদিবাসী উপভোক্তাদের সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন। আদিবাসী সাংস্কৃতিক দল গুলিকে ধামসা মাদল বিতরণ করেন। তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শুক্রবার ৪৫৪ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এদিন প্রায় আড়াই লক্ষ্য আদিবাসী মানুষকে সামাজিক পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আদিবাসী দের উন্নয়নে রাজ্য সরকার কি কি কাজ করেছে তাও তিনি তার ভাষনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন আদিবাসী দের জমি হস্তান্তর করা যাবে না রাজ্য সরকার আইন করে দিয়েছে। অল চিকি হরফে আদিবাসী ছেলে মেয়েদের সাঁওতালি ভাষায় পঠন পাঠনের জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্ম দিন, বীরসা মুন্ডার জন্ম দিন, হুল দিবস, করম পুজো তে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৭০০ জাহের থান ও দেড় হাজার মাঝি বাবার থান এর উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। কালিংপং ও রাজারহাটে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে, ঝাড়গ্রামে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে। আদিবাসী গুনিজন দেড় সম্মান দেয় রাজ্য সরকার।
তিন লক্ষ্য আদিবাসী মানুষ জয় জোহার প্রকল্পপের সুবিধা পাছে। আদিবাসী দের জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী মানুষদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে। ঝাড়গ্রাম জেলার এক লক্ষ বাড়িতে পাইপ লাইন এর মাধ্যমে পানীয় জন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরো আড়াই লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ চালছে, খুব শীঘ্রই আরো আড়াই লক্ষ বাড়িত পানীয় জল পৌঁছে যাবে বলে তিনি জানান।