অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই জাতীয় সড়কেই এলাকার বাসিন্দা এবং বিভিন্ন পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য নদীয়ার ফুলিয়া এলাকায় উড়ালপুলে তৈরি হয়েছিল একটি আন্ডার পাশ। মানুষজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই আন্ডারপাস তৈরি হলেও বর্তমানে অবশ্য তা নিয়েই সমস্যা পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সামান্য বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায় এই আন্ডারপাস এবং সংলগ্ন সার্ভিস রোডে। আশপাশের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন এই আন্ডার পাশ ব্যবহার করেন। এর কাছাকাছি এলাকাতে রয়েছে ফুলিয়ার গুরুত্ব পূর্ন এবং ব্যস্ত বাজার রয়েছে। একাধিক হাই স্কুল, শান্তিপুর বিডিও অফিসের অবস্থানের কাছেই।
এলাকাতেই ভূমি সংস্কার, খাদ্য দপ্তর, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের অবস্থান রয়েছে। ফলে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অফিস যাত্রী ব্যবসায়ী প্রত্যেককেই দৈনন্দিন নানা কাজে এই আন্ডার পাশ এবং সার্ভিস রোড ব্যবহার করেন। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন গাড়িও অনেক সময় এই আন্ডার পাশ ও সার্ভিস রোড ব্যবহার করে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পন্যবাহী এবং যাত্রীবাহী গাড়ি এই আন্ডার পাস ও সার্ভিস রোড দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি তে এই আন্ডারপাস এবং সংলগ্ন সার্ভিস রোডে জল দাঁড়িয়ে যায়। জমে থাকে বেশ কিছুদিন। এখানকার নিকাশীর সমস্যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অনেক দিনেরই। নিত্য প্রয়োজনে এই জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় তাদের। পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
এমনকি এখানকার জল উপচে পাশের এলাকায় গিয়ে ক্ষতি করছে মৃৎ শিল্পীদেরও। কিছুদিন আগে এখানকার রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। অবশেষে এদিন ফুলিয়ার এই এলাকা ঘুরে দেখেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নদীয়ার প্রকল্প অধিকর্তা উত্তম সিংহ্ সহ অন্য আধিকারিকেরা ছিলেন। তিনি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শুনেন। পাশাপাশি এখানকার নিকাশি ব্যবস্থাও ঘুরে দেখেন। কোন কালভার্ট থেকে জল আটকে যাচ্ছে সেটিও তারা দেখেন। পরে আধিকারিকেরা জানান, সমস্যা তারা খতিয়ে দেখেছেন। দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।