বাংলার নিজের খবর,বাঙালির খবর

আর জি কর কান্ড, প্রতিবাদে এবার অপর্ণা সেন

এক সময় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সাথী অপর্ণা সেন আর নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না। বাংলার বেশিরভাগ তৎকালীন বুদ্ধিজীবী নীরব থাকলেও অপর্ণা সেন এবার মুখ খুললেন। আর জি কর সরকারি হাসপাতালে মৃতা চিকিৎসকের দুর্ঘটনা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তাঁর।

 

তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মহিলাদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্ত চেয়েছেন অপর্ণা। প্রসঙ্গত ঘটনাটি ঘটার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতা চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে বলা হয়েছিল যে সে আত্মাহত্যা। স্বাভাবিক কারণেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সর্বত্র প্রশ্ন উঠেছে। অপর্ণা সেন স্তম্ভিত হয়ে বলেন, যে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটল, তা দেখেশুনে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। এরপর সত্যিই আর কিছুই বলার থাকে না।

 

কিন্তু তারপরও অনেক কিছু বলার থেকে যায়। অন্যান্য নাগরিকদের মতো আমারও প্রশ্ন, কেন মহিলাদের এরকম অরক্ষিতভাবে কাজ করে যেতে হবে সর্বত্র। কেন যথেষ্ট সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে না। এই অবহেলার দায় কি সরকার নেবে? সরকারকেই নিতে হবে। কেন না সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের দাবির সঙ্গে আমি সর্বতোভাবে একমত।” এর পরে তিনি লেখে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একটা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন–মৃতাকে ওরকম রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েও প্রথমে পুলিশ কেন বলল সেটা আত্মহত্যার ঘটনা। কীসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা, সেটা জানান অধিকার আমাদের আছে।

 

দ্বিতীয়ত, পুলিশ কেন মৃতার বাড়িতে ফোন করে বললেন এটা আত্মহত্যা? কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটল? তৃতীয়ত, পুলিশ কেন তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল? যে হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটল, সেই হাসপাতালেই কেন ময়নাতদন্তের প্রস্তাব উঠল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের ভাবাচ্ছে। নাগরিক হিসেবে এই প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আমাদের আছে। অপর্ণা সেনের মতো একই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে।

মিডিয়া
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News