আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে ধর্মঘটে শামিল এসইউসিআই । মঙ্গলবার এই ধর্মঘট ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটা শহরে । এদিন এসইউসিআইয়ের নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে গেলে তাঁদের দিনহাটা থানার সামনে আটকে দেয় পুলিশ।
এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ২৫ জন বনধ সমর্থনকারীকে আটক করে পুলিশ। এর তীব্র নিন্দা করেছেন এসইউসিআই নেতা আজিজুল হক। এদিকে, এদিন সকাল থেকেই বাস পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বেলার দিকে শহরের দোকানগুলি খুলতে শুরু করে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস পরিষেবা ঠিকঠাক রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র পার্থ প্রতিম রায়। তিনি বলেন যাত্রীদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রুটে বেশি সংখ্যক বাস চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,স্বাধীনতার মধ্যরাতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল সাধারণ মানুষ। একেবারে অরাজনৈতিক জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল। এই প্রতিবাদের মাঝেই আরজি করে দুষ্কৃতী হামলা হয়। ইতিমধ্যে ই কোচবিহারে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে দাঁড়িয়ে অরাজনৈতিকভাবে ঘটনার দাবি করে আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
আগামী শনিবার রয়েছে এই আন্দোলন কর্মসূচি। তার আগেই এইদিন দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় এসইউসিআই। নবান্ন তরফ থেকে বন্ধ কে সমর্থন করা হয়নি। বন্ধের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনহাটার পাশাপাশি মাথাভাঙ্গা এবং কোচবিহার শহরেও বন্ধ সমর্থনকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।