হাওড়ার শিবপুর মন্দিরতলায় বুধবার মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচালের পিছনে ‘বাম-রামে’র বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুললেন মন্ত্রী অরূপ রায়। এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানেই এক প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাতে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মধ্যেই হাওড়ায় প্রাক স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে ঘটে যায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আচমকা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান বানচাল করে দেন ‘প্রতিবাদকারী’ একদল ‘উচ্ছৃঙ্খল’ জনতা। অনুষ্ঠানের দর্শকদের চেয়ার ছুঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান চত্বর। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে ছুটে এসে ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সামাল দেয়। উল্লেখ্য, দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় হাওড়া জেলা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ এক গুণীজন সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। হাওড়ার মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রায় মধ্যরাতে ওই ঘটনা ঘটে। অরূপ বাবুকে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। বুধবার রাতের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে। এটা ঠিক কথা যে আমরা আরজি করের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
কিন্তু তাই বলে সিপিএম-বিজেপি এটাকে নিয়ে গতকাল যে রাজনীতি করেছে সেটাও কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্দিরতলায় ঠিক ওই স্থানেই আমরা একটি প্রতিবাদ সভা করতে চলেছি।” অরূপ রায় আরও বলেন, “বুধবার রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত আমরা অনুষ্ঠান করতে পেরেছিলাম। তারপরেই ওই অনুষ্ঠান বানচাল করার ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের চেয়ার ছুঁড়ে ফেলা হয়। আমাদের ২-১ জন আহত হন। পুলিশ এই ঘটনায় সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে। পুলিশকে অভিযোগও জানানো হয়েছে।”