বাংলার নিজের খবর,বাঙালির খবর

অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ এবং মিছিলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা

আর জী কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মূল অপরাধীদের সনাক্তকরণ সহ উপযুক্ত শাস্তি এবং ফাসির দাবিতে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল। বাদ পড়েনি কোচবিহার জেলাও। দফায় দফায় কোচবিহারের নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে আলাদা আলাদাভাবে অবস্থান বিক্ষোভ এবং মিছিলে সামিল হয়েছেন নেতৃত্বরা। রবিবার সকাল থেকে কোচবিহার মাথাভাঙ্গা বিধানসভা এলাকার ঘোকসারডাঙ্গা এবং মাথাভাঙ্গা শহরে দুইটি অবস্থান বিক্ষোভ হয়।

 

উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারী। অবস্থান বিক্ষোভ হয় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে নেতৃত্ব প্রদান করেন নব্য নির্বাচিত সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং সিতাই ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সংগীতা বসুনিয়া, যুব সভাপতি বিষু রায় প্রামানিক সহ অন্যান্যরা। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবিতে সিতাই বিধানসভার যুব মহিলা সহ নবনির্বাচিত সংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কে সামনে রেখে মহামিছিল এবং অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।

 

এই বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা বসুনিয়া। নেতৃত্ব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা যুব এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন নিজের বক্তব্যে বিজেপি শাসিত অঞ্চলগুলিতে ধর্ষণকাণ্ডের পর যেভাবে অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি সেই মন্তব্য উঠে আসে সঙ্গীতা দেবীর মুখ থেকে। অবস্থান বিক্ষোভ এ দিনাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উদয়ন গুহ।উদয়নের কথায়, ‘একটা পরিকল্পনা হচ্ছে। পুলিশকে প্ররোচিত করো, উত্তেজিত করো। যাতে পুলিশ গুলি চালায়। তাহলে তো আন্দোলন জমে ক্ষীর হয়ে যাবে।’

 

উদয়ন জানান, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভুল পদক্ষেপে গুলিতে কয়েকজন তরুণ প্রাণ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দেখা গেল ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে দেশের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া হল। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়। বুধবার রাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে যদি পুলিশ গুলি চালাত তাহলে আন্দোলন অন্য চেহারা নিত বলে তাঁর দাবি। তদন্তের ভরসার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর ভরসা আছে। তদন্ত সিবিআই করছে।

 

দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’বলাবাহুল্য, শনিবার রাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের নেতৃত্বে প্রায় দশ হাজার কর্মী সমর্থক পথে বেরিয়ে আসে প্রতিবাদ করতে। কোচবিহার সাগরদিঘী চত্বরে প্রতিবাদ আন্দোলনে স্বামীর হন তারা পরবর্তীতে রাত প্রায় বারোটা নাগাদ তারা কোচবিহার কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বিধানসভার স্তরে এই আন্দোলন চলছে বলে জানান অভিজিৎ বাবু। এবং যতদিন না পর্যন্ত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে এবং চিহ্নিতকরণ হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন লাগাতার চলবে বলে জানান তিনি।

মিডিয়া
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News