বাংলার নিজের খবর,বাঙালির খবর

বাংলাদেশ পণ্য নিয়ে গিয়ে নিগৃহীত গাড়ির চালক। ভারতীয় চালকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছেন গাড়ির চালক। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা। ফলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশিদের হাতে ভারতীয় ট্রাক চালক নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে এদিন উত্তাল হয়ে উঠেছে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত। ঘটনাস্থলে ভারতীয় ব্যবসায়ী, পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা পৌঁছেছেন। নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা থেকে ভারতীয় ট্রাক চালকরা এই আন্দোলন শুরু করেছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন তাঁরা।

 

ভারতীয় ট্রাক চালকদের অভিযোগ, বুধবার পণ্য নিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে ওপারে প্রবেশ করেন বিপ্লব মহম্মদ নামে মেখলিগঞ্জের এক ট্রাক চালক। তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আরও এক ট্রাক চালককে নিগৃহীত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিপ্লব মহম্মদ বলেন, তাঁদেরকে মারধর করা হয়েছে। গায়ের পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ওপারে ট্রাক নিয়ে যাওয়ার পর টার্মিনাস চত্বরে স্নানের জল ব্যবহার করা নিয়ে প্রথমে বচসা বাঁধে। তারপর সেটা মারপিটের চেহারা নেয়। ঘটনায় দুইজন ভারতীয় ট্রাক চালক বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। ঘটনার সুরাহা না পর্যন্ত তাঁরা ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

 

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশিস পি সুব্বা,ওসি মনিভূষণ সরকার,আইসিপির ওসি সুরজিত বিশ্বাস,সুবিধা পোর্টালের ওসি ডাম্বল ছেত্রী,কাস্টমস সুপারিনটেন্ড নবনিত কুমার,বিএসএফের আইসিপির কোম্পানি কমান্ডার শ্রীরাম হাঁসদা প্রমুখ।তারা কথা বলেন বাংলাদেশ প্রশাসনের কর্তাদের সাথে।ঘটনাস্থলে যান চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম সরকার,সভাপতি মনোজ কানু,সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিকাশ সাহা,সভাপতি সঞ্জয় চৌরাসিয়া প্রমুখ।হাজির হয়েছিলেন ট্রাক মালিক সমিতির কর্মকর্তারাও।প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে ঘন্টা দেড়েক পর আন্দোলন তুলে নেন ট্রাক চালকরা।

 

আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার জানান, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে পণ্য নিয়ে যাওয়া জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার সমান। যে কোন মুহূর্তে তাদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। যতদিন না পর্যন্ত এই পরিস্থিতির সুরা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ রাখাই ভালো।

মিডিয়া
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News