নদিয়া,মাধব দেবনাথ : যোগাসন শরীরের রোগ নিরাময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীর চর্চা,, অর্থাৎ নিয়মিত যোগাসন করলে অনেক ব্যাধি থেকে দূরে থাকা যায়।এবার সুদূর শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে গিয়ে সিলভার ও গোল্ড জিতে এক অনন্য নজির গড়লো নদীয়ার কৃষ্ণনগরের মা ও মেয়ে। একই সাথে সিলভার জিতে নিয়েছেন যোগাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষিকাও। উল্লেখ্য এশিয়ান স্পেসিফিক যোগাসন কম্পিটিশনে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের আস্থা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির বক্সি পাড়ার বাসিন্দা, চম্পা হালদার ও তার ছোট্ট মেয়ে আর্যহী হালদার। সাফল্য অর্জনের পর মা চম্পা হালদার সিলভার , আর মেয়ে দুটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছিনিয়ে নেন সোনা।
যোগাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা বিপাশা মুখার্জী জিতে নেন সিলভার। অর্থাৎ সিলভার বিজয়ী মা চম্পা হালদার বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, একদিকে যেমন অর্থের প্রয়োজন অন্যদিকে প্রয়োজন পরিবারের সহযোগিতা। তবুও তারা হাল ছাড়েননি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা বিপাশা মুখার্জি বলেন, “যোগাসন একটি সাধনা,, অর্থাৎ সাফল্যের দোড়গোড়ার পৌঁছাতে গেলে নিজেকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।” এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ভুটান সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিরা, তারাও কোন অংশে কম ছিলনা, লড়াইটা ছিল হাড্ডাহাড্ডি। এই প্রথম এশিয়া স্পেসিফিক যোগাসন কম্পিটিশনে এত বড় সাফল্য।
তিনজনের এত বড় সাফল্যে খুশি নদিয়া তথা কৃষ্ণনগর বাসী। তিনজনেরই এখন একটাই স্বপ্ন আগামীতে আরও বড় সাফল্য অর্জন করা। তবে সরকার যদি এই যোগাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলির উপরে একটু নজর দেয় তাহলে হয়তো যারা যোগাসন শিখছেন তাদের ভবিষ্যৎ আগামীতে আর উজ্জ্বল হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষিকা বিপাশা মুখার্জী।