তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে আরও শিল্পবান্ধব করে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই নানান পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই আঁধার পেরিয়ে আলোর পথে অগ্রসর হচ্ছে বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল। এই শিল্পাঞ্চলে ফের একটি রঙিন টিন তৈরির কারখানার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
কদিন আগেই কারখানাটি চালুও হয়েছে। এই অঞ্চলে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা একটি কারখানায় বিনিয়োগ শুরু করে। ফলত কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাজারহাট, দোকান-সহ সব কিছুই এগিয়ে চলেছে। বিধায়ক তন্ময় ঘোষ জানান, একটা সময় দ্বারিকায় পাঁচটি বড় ও চারটি মাঝারি মাপের কারখানা চালু হয়েছিল। ঝলমলে আলো, বিভিন্ন শিফটের প্রচুর কর্মীর আনাগোনায় কার্যত গমগম করত এই অঞ্চল।
তবে এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ ভারতের মালিকরা তাঁদের কারখানার ঝাঁপ গুটিয়ে অন্যত্র চলে গেলে কর্মীরাও বেকার হয়ে পড়েন। অনেকেই বিকল্প কাজে যোগ দিলেও সবারই আশা ছিল, কারখানা আবার চালু হবে। দশ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসায় নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। কদিন আগে আর একটি কোম্পানি কারখানা চালু করায় পুরনো অনেক কর্মী কাজে লেগে পড়েছেন। প্রায় এক যুগ পর এবার বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে এখানে।
শোনা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় রঙিন টিন উৎপাদনের একটি কারখানা আগেই চালু ছিল। তারাই বাংলার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাছ থেকে লিজে নিয়ে দ্বারিকার একটি নতুন ইউনিট গড়েছে। প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে রাস্তা-সংলগ্ন কারখানার কাজ।