জলস্তর কমতে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর।জলস্তর কমার ফলে ফের ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীতে। গত কয়েকদিনে নয়া বিলাইমারির খাকসাবোনা গ্রামের প্রায় ২০০ মিটার তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। এই মুহূর্তে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর দূরত্ব রয়ে গিয়েছে প্রায় চারশো মিটারের মতো। এভাবে আগামী কয়েকদিন ভাঙন অব্যাহত থাকলে দুই নদী মিশে যাবে এবং ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। নিমেষের মধ্যে মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েত মানচিত্র থেকে মুছে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
বিগত কয়েক বছরের গঙ্গা ও ফুলহর নদীর খামখেয়ালিপনাতে রতুয়ার মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি অঞ্চলের ফসলি জমি সহ প্রায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। ভাঙনের ফলে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছিল ৫০০ মিটার। ফের ভাঙন শুরু হওয়াতে সেই দুরত্ব কমতে শুরু করেছে। ফলে নদী দুটি যুক্ত হয়ে গেলে বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি মহানন্দটোলার নয়া-বিলাইমারির খাকসাবোনা এলাকার।
বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা ‘আগেই গঙ্গা ও ফুলহর নদীর ভাঙনে নয়া বিলাইমারির বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল। মোট পনেরো থেকে কুড়িটি পরিবার এখন এই গ্রামে রয়েছে। এই মুহূর্তে গ্রাম থেকে গঙ্গা নদীর দূরত্ব মোট ১৫০ মিটার। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গ্রাম গঙ্গা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এর ফলে মিলন হবে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর। ইতিমধ্যে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে রতুয়ায়।