আরজি কর কাণ্ডে এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ হাসপাতালেরই ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাসের। ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার রাতের মধ্যেই যদি ময়নাতদন্ত না হয় তাহলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন নির্যাতিতার এলাকার কোনও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোনোর সময় এমনটাই জানিয়েছেন অপূর্ব বিশ্বাস।
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, মৃত্যুর দিন তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তে চাপ দেন মৃতার ‘কাকা’ পরিচয়ে এক এক্স কাউন্সিলার। যদিও কে সেই এক্স কাউন্সলিলার তার নাম অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান নি তিনি। ওই চিকিৎসকের আরও অভিযোগ, মৃতার সঙ্গে ‘রক্তের সম্পর্ক’ না থাকলেও ‘কাকা’ পরিচয়ে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, তড়িঘড়ি ময়নাদতদন্ত না করলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই স্ক্যানার রয়েছে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে ও চিকিৎসক সৌরভ পাল। পাশাপাশি জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাসকে। এদিন প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা তাকে জেরা করা হয়। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে বিরূপাক্ষ-অভীক দে’কে জেরা করা হয়। ফের রবিবার সকালে এই তিনজনকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টালা থানার SI চিন্ময় বিশ্বাসকেও দীর্ঘক্ষণ চলে জেরা। ৯ অগাষ্ট সেমিনার রুমের ভাইরাল ভিডিওতে বিরূপাক্ষ অভীক সহ বেশ কয়েকজন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ উত্তরবঙ্গ লবির বহিরাগত চিকিৎসককে দেখা যায়। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে খবর ধর্ষণ খুনের তদন্তে সামনে এসেছে বেশ কিছু ফোন নম্বর। সেদিন যে সকল বহিরাগতরা সেমিনার রুমে ছিলেন তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। সেই তালিকার সূত্র সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিন চিকিৎসককে চলছে জেরা পর্ব।