চিকিৎসার গাফিলতির কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনায় হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে রোগীর পরিবার। পরে হাসপাতাল সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতৃত্বরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সদর হাসপাতালের ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মামনি বর্মন (৩০)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চকরাম এলাকায়। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। সোমবার গভীর রাতে পেট ব্যথা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মামনির। তাঁর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, চিকিৎসক দেরিতে আসার ফলে এবং ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।
এ বিষয়ে মৃতার দাদা কর্ণ বর্মন জানান,
‘চিকিৎসার গাফিলতির কারণে আমার বোন মারা গিয়েছে। সঠিক সময় চিকিৎসক আসেননি। পাশাপাশি ভুল ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অন্যদিকে, এদিন চিকিৎসার গাফিলতি অভিযোগ তুলে বালুরঘাট সদর হাসপাতাল এবং সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। হাসপাতাল সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচির সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভ চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী ষষ্ঠী বসাক (ভট্টাচার্য) সহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী জানান, ‘পেটের ব্যথা নিয়ে গতকাল রাতে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মামনি বর্মন। ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে চিকিৎসক দেখতে আসেনি। অনেকবার কল করার পরও চিকিৎসক আসেননি। সকালে আমরা জানতে পারি ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বালুরঘাট হাসপাতালে এরকম ঘটনা বারবার ঘটছে। অবিলম্বে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’
অন্যদিকে, এ বিষয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হবে। কোনরকম গাফিলতি প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’