মিঠুন পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। উদ্বেলিত সমস্ত বলিউড ও টলিউড। সকলেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছেন মহাগুরুর কাছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মমতা শঙ্কর থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেকে নিজেদের আনন্দের কথা জানিয়েছেন। এ দিন সকালে এক্স হ্যান্ডেলে এ কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সুখবর ঘোষণা হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি ডিস্কো ডান্সার। উত্তর কলকাতার যে গলি থেকে তাঁর সংগ্রাম শুরু। সেখান থেকে ঠিক ৭ মিনিট দুরত্বে নিজের সাফল্য, স্বীকৃতি নিয়ে অকপট নায়ক। এই যে ৭ মিনিটের দুরত্ব ৪৮ বছরে অতিক্রম করলেন কী ভাবে? আবেগপ্রবণ মিঠুন।
তাঁর চোখে মুখে আনন্দের আভাস। তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে বলেন, আমায় কোনও কিছুই কেউ থালায় সাজিয়ে দেননি। সবটাই লড়ে নিতে হয়েছে। তবে যদি ফল এটা পাওয়া যায়। তাহলে পুরনো সব ব্যথা, কষ্ট মনে থাকে না। ভগবান সত্যিই আমার সঙ্গে ছিলেন। আমার মনে হয় এটাই হয়তো সঠিক সময় ছিল। তাই এখন এই সম্মান পাচ্ছি। এদিন তাঁর শরীরী ভাষায় ছিল উল্লাস। কিন্তু তিনি ছিলেন খুবই সংযত।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের কথা ঘোষণা হওয়ার পর নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মিঠুন বললেন, আমি যদি পেরে থাকি, তাহলে সবাই পারবে। জীবনে আশা কখনও হারাতে নেই। যাই হোক না কেন আশা রাখলে সব সম্ভব। ৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে মিঠুন অভিনীত ছবি শাস্ত্রী। আর সেই দিনই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। এই আনন্দ রাখার জায়গা নেই।