বহুদিন পরে পাহাড়ে আবার সিপিএম কি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। একথা ঠিক পাহাড়ে শ্রমিক মহলে এখনও বামেদের যথেষ্ট প্রভাব আছে। আজ সোমবার সেই বাম আটটি শ্রমিক সংগঠন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বনধ ডেকেছে। বোনাস জটিলতার জেরেই আচমকা পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধে সিটু ছাড়াও অনিত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাও রয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক জানান, “২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে চারটি বৈঠক হয়েছে। মালিকরা ১৩ শতাংশ বোনাস দিতে চান। আমরা মানছি না। পাহাড়ের চা উন্নত। গুণমানের দার্জিলিং টি। তরাই ও ডুয়ার্সের চা যেখানে তুলনায় কম গুণগত মানের, তবু বাগান মালিকেরা ১৬ শতাংশ বোনাস দিচ্ছেন। পাহাড়ে কেন মালিকরা রাজি হবেন না? তাই বাধ্য হয়েই বনধ ডাকা হল। তবে যে সব পর্যটক আসবেন তাদের যাতে অসুবিধা না হয় সুনিশ্চিত করব।” একথা ঠিক যে পাহাড়ে শ্রমিকদের বিশেষ উন্নতি হয় নি। তাদের উপর শাসন ও শোষণ অব্যাহত।
সাংসদ রাজু বিস্তা এই বনধকে সমর্থন করেন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে পাহাড়ে পিকেটিং শুরু হয়ে যাবে। অনিতের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম এই বনধ-এর অন্যতম অংশীদার। ফলে সকাল থেকে পাহাড় বনধ সর্বাত্মক হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। বছরে একবারই পুজো আসে। আর সেই পুজোর সময় তারা কিছুটা বোনসের জন্য অপেক্ষা করেন।