বাংলার নিজের খবর,বাঙালির খবর

প্রায় এগারো বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন বিহারের বাসিন্দা সিতাবলাল প্রসাদ

প্রায় এগারো বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন বিহারের নালন্দার জেলার ধর্মপুর, হরনৌথের বাসিন্দা সিতাবলাল প্রসাদ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। রবিবার চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশ তাঁকে ভারতীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। উপস্থিত ছিলেন চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন দপ্তরের ওসি সুরজিৎ বিশ্বাস ইমিগ্রেশনের বিএসএফ আধিকারিকরা। সিতাবকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এদিন চ্যাংরাবান্ধায় এসেছিলেন তার ভাই পিন্টু প্রসাদ, শ্যালক পিন্টু কুমার সহ অন্যান্য আত্মীয়রা। পিন্টু কুমার জানান, পুলিশ মারফৎ একটি ভিডিও পেয়ে জানতে পারি উনি বাংলাদেশে আছেন।আজ বাড়ি নিয়ে ফিরছি।

এতোদিন পর ভাইকে দেখে চোখ ছলছল করে ওঠে পিন্টু প্রসাদের। তিনি বলেন, ‘ভাইকে জীবিত দেখতে পাবো কোনোদিন ভাবতে পারিনি। ওঁর মানসিক সমস্যা আছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে আচমকা উধাও হয়ে যায় প্রায় এগারো বছর আগে।’
অনেকবার জিজ্ঞেস করায় খুব অস্পষ্ট ভাবে নিজের নাম বলেন সিতাবলাল। বাংলাদেশে কি করে গেলেন বলায় উত্তর দেন হয়তো ঘুরতে ঘুরতে। এদিকে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিহারের নালন্দা থেকে ট্রেনে করে কিশনগঞ্জ-এনজেপি হয়ে সম্ভবত হলদিবাড়ি হয়ে মানিকগঞ্জ খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চগড় চলে যান সিতাবলাল। কেননা ওই রুট ছাড়া পঞ্চগড় যাওয়ার পথ নেই।

ওখানকার পুলিশ ওকে আটক করে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের জন্য। এরপর পঞ্চগড় থানা থেকে তাঁকে লালমনিরহাটের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ওখান থেকে এই ব্যক্তি নিজের জেলার নাম, পোষ্ট অফিসের নাম বলতে পারায় লালমনিরহাট সংশোধনাগার থেকে ভিডিও করে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশনে পাঠানো হয়। সেটা দিয়ে বিহারের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়। এগারো বছর আগে নিখোঁজ হলেও ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পৌঁছান সিতাবলাল। ৭ বছর বাংলাদেশেই বন্দী ছিলেন।

মিডিয়া
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News