সম্প্রতি অতিবৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবছর পদ্মের উৎপাদন যথেষ্টই কম। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক পরিমাণে পদ্মের চাষ হয়।তবে এবছর বিভিন্ন জায়গায় অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে পদ্মের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে।
যার ফলে পদ্মচাষিরা যথেষ্টই ক্ষতির মুখে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া এলাকায় মেদিনীপুর ক্যানেলে ব্যাপক পরিমাণে পদ্মের চাষ হয়। তবে এ বছর এই এলাকার পদ্ম চাষিরা ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবছর পদ্মের উৎপাদন যথেষ্টই কম এমনটাই দাবি কোলাঘাট এলাকার অসংখ্য পদ্মচাষিদের।তবে এই বিষয়ে সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান,এ বছর পদ্মের উৎপাদন কম থাকার কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তবে ফুল ব্যবসায়ীদের পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যার পদ্মের উপর নির্ভর করতে হবে।
অন্যান্য বছর পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে পদ্ম চাষী ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হিমঘরে জমায়েত রাখতেন তাদের উৎপাদিত পদ্ম। কারণ দূর্গা পূজার অষ্টমীতে ১০৮ টি করে পদ্ম প্রয়োজন হয়। যার কারণে প্রতিবছরই অষ্টমীর দিনের ফুল বাজার থাকে যথেষ্টই চড়া। যে পদ্ম অন্যান্য সময়ে দাম থাকে ৫০ পয়সা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত, সেই অষ্টমীর দিনে ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।তবে এ বছর পদ্মের উৎপাদন কম থাকায় পুজোর প্রায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই কোলাঘাট ও দেউলিয়া ফুলবাচারী পদ্মের দাম রীতিমতোই চড়া।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান , এ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান,সব্জী, অন্যান্য ফুলের মতো পদ্ম ফুল ক্ষতির মুখে পড়েছে।উৎপাদন বহুঅংশেই কম এ বছর। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরম ক্ষতিগ্রস্ত পদ্ম চাষীরা। যার ফলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যার উৎপাদিত পদ্মের উপর নির্ভর করতে হবে এ বছর দুর্গাপূজার দিনগুলিতে।ফলে পদের দাম যে অগ্নি মূল্য হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।