করোনা আবহে বছর চারেক ধরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল। চার বছর পর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মাতলেন গ্রামের মানুষ। একসময় প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল বাংলার জনপ্রিয় নৌকা বাইচ খেলা। হরিহরপাড়ার সুন্দলপুর ফেরিঘাটে প্রায় ৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এবছর ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল প্রতিযোগিতা।
বাইচ প্রতিযোগিতা ঘিরে গ্রামের মধ্যে উৎসব। রবিবার সুন্দরপুর শান্তি সেবা ক্লাবের উদ্যোগে সকাল থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। প্রতিযোগিতা দেখতে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় নদীর দুই প্রান্তে। প্রতিযোগিতা ঘিরে নদীর দুই প্রান্তে বাচ্চাদের খেলনা, খাবারের দোকান ও অন্যান্য দোকান বসে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্সের টিম। উদ্যোক্তাদের তরফে প্রথম স্থান অধিকারীকে কাপ-সহ নগদ ৩০০১,দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে কাপ-সহ নগদ ২৫০১ টাকা।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে নদীর ধারে হাজির হন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান, স্থানীয় বিধায়ক নিয়ামত শেখ, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সেরিং জাম ভুটিয়া, হরিহরপাড়া থানার আইসি অরূপ কুমার রায়,জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা বিশ্বাস, হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর আলমগীর, বনভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আহাতাবুদ্দিন শেখ। বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহানুজ্জামান শেখ ওরফে সাহা, স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আয়েশা বিবি সহ বিশিষ্টজনেরা।
উদ্যোক্তা,ক্লাবের সভাপতি সাহানুজ্জামান সেখ ওরফে সাহা বলেন,এই খেলা গ্রামবাংলায় প্রায় বিলুপ্তের পথে। প্রতিবছর এই নৌকো বাইচ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য বহু মানুষ অপেক্ষায় থাকেন। প্রতিযোগিতা ঘিরে গ্রামের মধ্যে উৎসব পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরেন।