হাওড়ার শরৎ সদনে রবিবার সকালে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে এসে কিছু কর্মীদের ‘অনীহা’ এবং দলের প্রতি ‘আনুগত্য’ ও ‘শৃঙ্খলা’ প্রসঙ্গে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়। কার্যত এদিন বিধানসভাভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল মধ্য হাওড়ার শরৎ সদনে। অভিযোগ, এদিন অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরেই প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে চলে যান অনেকে। সেই সময় মঞ্চে সাংসদ, মন্ত্রী, পুরসভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকা সত্বেও অনেক কর্মীর এই ‘অধৈর্য’ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অরূপ রায়।
বক্তৃতা দিতে উঠে কর্মীদের এই আচরণ নিয়ে তিনি একহাত নেন। এদিন অরূপ রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এখানে সাংসদ, বিধায়ক, চেয়ারপার্সন, নেতা, নেতৃবৃন্দ সকলে বসে আছেন। কিন্তু আপনারা চলে গেলেন সকলে। আপনারা দেড় ঘন্টা বসতে পারলেন না। যদি জরুরি কাজ বা হাসপাতালে কেউ ভর্তি আছে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু গিয়ে দেখব পাড়ায় আড্ডা মারছেন। দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। আপনাদের কেউ জনপ্রতিনিধি। আপনাদের দলের প্রতি কি কোনও দায়বদ্ধতা নেই, আনুগত্য নেই ? আমাদের যখন যে যা বলে তাই করি। কারও হাসপাতালে ভর্তি, কারও স্কুলে ভর্তি, কারও টাকা লাগবে, কারও বই কিনে দিতে হবে, কারও ল্যাপটপ প্রভৃতি দিতে হবে যাই চাওয়া হয় সব ব্যবস্থা করে দিই।
কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তা সত্ত্বেও আপনাদের এতো অনীহা কেন। দলের প্রতি সামান্য আনুগত্য থাকবে না আপনাদের ? উপরের আসন ভর্তি ছিল। সব ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন ওখানে বসে আছে। আমি আশা করব দলের প্রতি একটু দায়বদ্ধতা থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে উজাড় করে দিয়েছেন। সবসময় বাংলার মানুষের কথা ভেবেছেন। সেই কথা বিবেচনা করে দলের জন্য সকলেরই একটু ভাবা উচিৎ।