চলতি মাসের শেষেই সংসদের অধিবেশনে ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে চলেছেন বিরোধীরা। এক দেশ এক ভোট এবং ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে ঝড় তুলবে বিরোধী দলগুলি। দিল্লীতে সরকারি সূত্রের দাবি, ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে এই বছরের শীতকালীন সংসদীয় অধিবেশন৷ ২৬ নভেম্বর সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধানের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উত্সবের সূচনা করতে পারেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ এর পরে সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন চলতে পারে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ এই অধিবেশনেই একাধিক বিল পেশ করতে পারে মোদী সরকার৷ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এক দেশ এক ভোট এবং ওয়াকফ সংশোধনী বিল৷ বিরোধী শিবির ইতিমধ্যেই এই দুটি ইস্যুতে নিজেদের বিরুদ্ধ অবস্থান স্পষ্ট করেছে৷ সরকারের অন্দরেও এক দেশ এক ভোট নিয়ে মতান্তর রয়েছে৷ এনডিএ’র শরিক বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও চাইছে না, এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকর করা হোক৷
তারপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবারই দাবি করছেন, তাঁর সরকার এক দেশ এক ভোট নীতি প্রয়োগ করবেই৷ এক দেশ এক ভোট নীতি প্রয়োগের ভাবনা পুরোপুরি অবাস্তব ও অসাংবিধানিক, ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের প্রভাবশালী দলগুলি৷ এই পরিস্থিতিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ-এক ভোট সংক্রান্ত বিল আনা হলে সরকার বনাম বিরোধী লড়াই তুঙ্গে উঠবে বলেই অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের।
এর পাশাপাশি চলতি মাসের শেষে নির্ধারিত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকার বনাম বিরোধীদের লড়াই তুঙ্গে উঠতে পারে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়েও৷ ইতিমধ্যেই এই বিলটিকে সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিতে৷ সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের অধিকার খর্ব করতেই উদ্দেশ্যেই মোদী সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রণয়ন করেছে, সাফ দাবি করেছে বিরোধী শিবির৷ পর্যালোচনার পরে এই বিল নিয়ে জেপিসি তাদের রিপোর্ট পেশ করবে শীতকালীন অধিবেশনেই৷ শেষ পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের ভবিষ্যত্ কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই চোখ রাজনৈতিক মহলের।