রবিবার সন্ধ্যেয় গঙ্গায় তলিয়ে এখনো নিখোঁজ হাওড়ার প্রৌঢ়া। রবিবার ঘটনার পর থেকে পর পর দুদিন গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়েও সন্ধান মেলেনি তাঁর। ভাইফোঁটার দিন স্বামী, মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে মিলেনিয়াম পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁতরাগাছির বাসিন্দা শেফালি কর (৫৫)।
মিলেনিয়াম পার্ক দেখার পর ফেয়ারলি ঘাট থেকে হাওড়া ফেরিঘাটে আসছিলেন লঞ্চে চেপে। সন্ধ্যা ছটা নাগাদ লঞ্চ থেকে জেটিতে নামতে গিয়ে লঞ্চ এবং জেটির মাঝখানের ফাঁকা অংশে পড়ে গিয়ে তিনি গঙ্গায় তলিয়ে যান। তারপর লঞ্চ কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তল্লাশি শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারেরর চোখের সামনেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এবং রিভার ট্রাফিক পুলিশ পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। নিখোঁজ প্রৌঢ়ার মেয়ে চৈতালি কর জানা বলেন, “আমরা লঞ্চে করে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ফিরছিলাম।
হাওড়ায় আসার পর পরপর ৩টি লঞ্চ ছিল। ঘাট থেকে ৩নং লঞ্চে আমরা ছিলাম। মায়ের সঙ্গে ৩য় লঞ্চ থেকে দ্বিতীয় লঞ্চে এসেছি। দ্বিতীয় লঞ্চ থেকে প্রথম লঞ্চে আসার জন্য পা বাড়াতেই একটি লঞ্চের ফাঁকা জায়গা দিয়ে আমার চোখের সামনে মা জলে পড়ে যায়। আমি চিৎকার করলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। এই দেখে বাবা জলে নামতে গিয়েছিল।
কিন্তু কেউ নামতে দেয়নি। যখন মা লঞ্চ থেকে পড়ে যায় তখন অন্য লঞ্চে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের কেউ সাহায্য করেনি।” হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির জনৈক আধিকারিক জানান, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে জলসাথী কর্মীরা। তারা ওই সময় কি করছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, গোলাবাড়ি থানা সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যেয় ঘটনার পর জলে ডুবুরি নামানো হয়। এরপর সোমবারও ডুবুরি নামিয়ে গঙ্গায় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ প্রৌঢ়ার কোনও সন্ধান মেলেনি।