সোমবার শিয়ালদা আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাবার সময় অনেকটা কুনাল ঘোষের কায়দায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে চিৎকার করতে শোনা যায়, তাকে ভয় দেখিয়ে সরকার ও তার ডিপার্টমেন্ট চুপ করিয়ে রেখেছে। তাকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে। তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে যে সঞ্জয় তো সিবিআইয়ের হেফাজতে। তাহলে কে কিভাবে তাকে ভয় দেখাচ্ছে?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও ধর্ষণ ও খুনে সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকে অভিযুক্ত করেনি এখন পর্যন্ত। তার বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে। এরই মধ্যে চিকিৎসকমহল থেকে দাবি উঠেছে, এই ঘটনা একজনের দ্বারা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার বাবা-মাও এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন আগেই। তিলোত্তমার শরীরে ২৬টা আঘাতের চিহ্ন শুধুই একজনের পক্ষে ওই অল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া অসম্ভব বলেই নাগরিক মহল মনে করছেন।
সঞ্জয়ের দাবির পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একাধিক দাবি উঠেছে। কে বা কারা সঞ্জয়ের মুখ বন্ধ করে রেখেছিল? তা সামনে আসা দরকার। সঞ্জয় রায়ের মুখ নাকি বন্ধ রাখতে বলেছিল ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু সিবিআই ? প্রশ্ন তুলেছেন , আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া। কিঞ্জল নন্দও প্রশ্ন তুলেছেন একই স্বরে। চিকিৎসক আসফাকুল্লার প্রশ্ন, ‘ Department এর কথায় চুপ ছিল মানে ? কোন Department ? কে বা কারা কেন চুপ করিয়ে রেখেছিল ? কাকে কাকে চুপ করিয়ে রেখেছিল ?
CBI কেও কি কেউ চুপ করিয়ে রাখছে নাকি ? কত পাওয়ারফুল ব্যক্তি জড়িত ? কত বড় খেলা ? সরকার ফাঁসাচ্ছে মানে ?’ অন্যদিকে কিঞ্জলের প্রশ্ন, ‘ আজকে যখন সঞ্জয় রাই বলে যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাহলে তাকে কে ফাঁসিয়েছে? কেন ফাঁসানো হচ্ছে? এই পুরো ঘটনার মোটিফ কী? এই সবটাই এই মুহূর্তে সিবিআইকে সামনে আনা উচিত।