ছটপুজোয় ভার্চুয়ালি উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, হাওড়ায় ছটপুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাবক্ষে পরিদর্শন অরূপ রায়ের। বৃহস্পতিবার ছটপুজো উপলক্ষে হাওড়ার একাধিক ঘাটে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে হাওড়ার তেলকল ঘাটের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপাপপ্রিয়া সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। হাওড়ার গোলাবাড়ির লবণগোলা ঘাটে এদিন এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার উপ পুর প্রশাসক সৈকত চৌধুরী, হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি নর্থ আবদুল গফফার সহ অন্যান্যরা। এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছটপুজো উপলক্ষে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে মন্ত্রী অরূপ রায় লঞ্চে চেপে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই, তৃণমূল নেতা শ্যামল মিত্র, সুশোভন চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। মুলত গঙ্গার ঘাটে ছট পুজোর সময় কোনও অসুবিধা আছে কিনা তা দেখার জন্য এদিন লঞ্চে ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন অরূপ রায় বলেন, ছটপুজো উপলক্ষে প্রশাসন, সরকারের তরফ থেকে সমস্তরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মখ্যমন্ত্রী এদিন ছটপুজোর উদ্বোধন করবেন। আমরা বাংলাভাষী। কিন্তু সকল ভাষাভাষী মানুষই এই বাংলায় বসবাস করেন। ছটপুজোর দিনটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ ছিল।
কিন্তু আমাদের বাংলার সরকার এই মহোৎসবে ২ দিন ছুটি ঘোষণা করেছেন। অন্যান্য রাজ্য থেকেও হাওড়ায় অনেকে ছটপুজো পালন করতে আসেন। ঘাট পরিষ্কার আছে, আলোর ব্যবস্থা ঠিক আছে। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে বাঁশের ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন ঘাট ভেঙে গেলে তা সংষ্কার করা হয়েছে। সেইজন্য আমরা কিছুদিন আগে থেকে ঘুরছি। যেখানে যা কাজের প্রয়োজন তা করা হয়েছে। আমাদের দলের সকল কর্মীরা মিলে কাজ করছেন। যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখছেন।
ছটপুজোয় সমস্তরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৩টি বায়ো টয়লেট রাখা হয়েছে। বাংলা ভারতের একটি আদর্শ রাজ্য। এখানে সমস্ত ভাষাভাষী মানুষের জন্য ব্যবস্থা আছে। সেই কারণেই সব রাজ্যের সমস্ত ভাষাভাষী মানুষ এই বাংলায় বসবাস করেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য, গৌরব, পরম্পরা। এই কারণে বাংলাকে আমরা মিনি ইন্ডিয়া বলে থাকি।