চলতি মাসের ১৪ ও ১৬ তারিখ মহারাষ্ট্রের জনসভা কোরবেন রাহুল গান্ধী। কুড়ি তারিখ রয়েছে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। বুধবার তিনি বলেন ” প্রধানমন্ত্রী দাবি তিন কৃষি আইন তিনি এনেছিলেন কৃষকদের সুবিধার জন্য ওই কালা আইন গুলি যদি সত্যি তাদের উপকারে আসবে তাহলে কৃষকরা রাস্তায় নেমেছিলেন কেন? আসলে তিনি দেশের কতিপয় ধনী শিল্পকর্তা ঋণ মুকুব করতে চেয়েছেন কৃষকদের নয়।” বাছাই করা শিল্পপতিদের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ কেন্দ্র মোকব করছে বলেও দাবি করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। তিনি বলেন, “সয়াবিন তুলো ধান চাষীদের ফসলের যোগ্য দাম দিতে পারেন না নরেন্দ্র মোদি। অথচ বন্ধু শিল্পপতিদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন।”
শনিবার মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহাবিদাস আধারের ইস্তেহার সম্পর্কে রাহুল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন ক্ষমতায় এনে সয়াবিন তুলো ও ধান সকলেরই যোগ্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ বাড়তি সুবিধা দেবে তাঁদের দল। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে এসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবিধান বিরোধী কথা বলার করার জন্য বিঁধেছিলেন। আজ অর্থাৎ বুধবার সেই প্রসঙ্গেরই পাল্টা জবাব রাহুল দিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, ” গত হাজার বছর ধরে গৌতম বুদ্ধ , সন্ত বাসবেশ্বের, ছত্রপতি শিবাজী, মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে, মহাত্মা গান্ধী, বাবাসাহেব আম্বেদকরের এর মত মানুষদের সম্মিলিত প্রজ্ঞার ফলাফলে যে সংবিধান তৈরি হয়েছে তাকে বদলে দেওয়ার জন্য অহরাত্র চেষ্টা করছে মোদি সরকার।”
লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল বিজেপিকে হারাতে সেই ধারাই বজায় রাখল এই বারেও। রাহুল গান্ধী বলেন, ” সংবিধান সাম্য সব ধরনের এবং মানুষকে সম্মান করতে শেখায় বিজেপি এবং আরএসএসের লক্ষ্য তাকে শেষ করা । সংবিধানে কোথাও মানুষকে হত্যা করার কথা নেই। গরিবকে প্রেরণের বার্তা নেই। কিন্তু যখন লাল রহস্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তার সমালোচনা করেছেন আসলে তিনি সংবিধান পড়েননি “