নিজস্ব প্রতিনিধি : বাড়িতে বারন আমিষ খাদ্য। সেই খাবার আনা নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি। রাগের মাথায় মত্ত অবস্থায় সেই ভাইকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর ২২ এর অনশুল যাদবের। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বৈরাগড় এলাকায়। খুনের ঘটনায় বড় ভাই কুলদীপ যাদব এবং ছোট ভাই আমন যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দুই ভাইয়ের সঙ্গে মা অনিতা যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৈরাগড়ের একটি দোকানে কাজ করতেন অনশুল ও তাঁর ভাইয়েরা। ঘটনার দিন বন্ধ ছিল বাজার । বাড়িতে পার্টি করবেন বলে ভেবেছিলেন অনশুল। সেই য়োগেই বাড়িতে মুরগির মাংস আনতে চেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ভাই সেই সময় নেশাগ্রস্ত ছিল। বড় ভাই কুলদীপ এবং চোট ভাই আমন বাড়িতে আমিষ খাবার আনার বিরোধিতা করে। এরপরেই তিন ভাইয়ের মধ্যে তুমুল বচসা বাধে। তার মাঝে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে অনশুলকে হত্যা করে কুলদীপ ও আমন।
ঘটনার পর অনশুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । হাসপাতালে তারা এই দাবি করেন যে, অনশুল বাড়িতে ফিরে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। পরে আনশুলের গলায় দড়ির দাগ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। খবর যায় পুলিশের কাছে। বৈরাগড় থানার পুলিশ আধিকারিক কমলজিৎ রনধাওয়া বলেন, বাড়িতে মুরগির মাংস আনা নিয়ে বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে কুলদীপ এবং আমন তাদের ভাইকে মত্ত অবস্থায় খুন করে। তাদের মাকেও শ্বাসরোধ করার জন্য ব্যবহৃত দড়িটি লুকিয়ে রাখার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিন জনকেই গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয়পুলিশ।