প্রয়াত ভরত দেব ভার্মা । তাঁর মৃত্যুতে দুঃপ্রকাশ করে, অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছেন, ‘খবরটা শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। ভরত আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। মুনমুন বলেছিল, শরীরটা ভালো থাকে না ভরতের। চোখে নাকি ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছিল না।’ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিপাড়ায়। ভরত রাজ পরিবারের সন্তান । মুনমুনের মা ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তিনি নিজে তাঁর কণ্যার এই পরিবারে বিবাহ ঠিক করেছিলেন। বিলাশবহুল ভাবে আয়জিত সেই বিয়ের নিমন্ত্রন গিয়েছিল মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়িতেও যেখানে সুচিত্রা সেন নিজে গিয়েছিলেন।
মুনমুন ভরতকে হাবি’ বলে ডাকতেন। তবে মা সুচিত্রা সেনের কথা ছিল তিনি যেন বিয়ের পর ছবি না করেন। সেই কথা না মেনে মুনমুন কাজে নামল দেড় বছর তাঁর সঙ্গে কথা বলেলনি মা । এরপর যেন স্বামী ভরতকে পাশে পেয়ে বন্ধু হিসেবে পেয়ছিলেন মুনমুন। এদিন সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে মুনমুনের বাড়ি গিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মুনমুন ও রাইমা এখানে নেই রিয়া আছে ওটা আত্মীয়-স্বজনরাও আছেন। খুবই অমায়িক লোক ছিলেন ভরত আমাদের খুব ভালবাসতে মুনমুন এই বিষয়টা জানতো না বোধহয় মিডিয়ার মাধ্যমেই জেনেছে।
ও দিল্লিতে আছে ইন্ডিগো ফ্লাইটে করে ফিরছে। মুখ্যমন্ত্রী, ভরত দেব ভার্মার চলে যাওয়াকে ‘গ্রেট লস ‘ বলেন এদিন। তিনি আরো বলেন এমন কোন বয়স হয়নি তাঁর। কেউ বলছে স্টোক হয়েছে। আমার একজন আত্মীয় এবং শুভাকাঙ্ক্ষী কে হারালাম। ‘ মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি লোকাল কাউন্সিলের নাম বাবু বকশি দেবাশীষ কুমার মালা ও পুলিশকে সেখানে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মুনমুন সেন আসলে তাকে এখানে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর তার সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘ সেরম অসুস্থ ছিলেন না। সুগার ছিল আমি যতদূর জানি। তবে শীতকালে সকালে ও রাতের দিকের সময়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্টোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময় বেশি করে খেয়াল রাখতে হয়। সুচিত্রা মারা যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন আমি এরপর বারবার ছুটে গিয়েছিলাম ওর বাড়িতে। উনি বলেছিলেন আমি লাইভ সেভিং কিছু নেব না।
তবে আমার মৃতদেহ যেন কেউ না দেখতে পায়। আমি ওর শেষ ইচ্ছে রাখার চেষ্টা করেছিলাম । পুজোর কার্নিভালের রাইমারিয়া দুজনেই গিয়েছিল মুনমুনও দিল্লিতে চলে গিয়েছে, শরীর এত বেশি খারাপ থাকলে নিশ্চয়ই যেত না। মুনমুন এমনিতেও এমপিও ছিল এছাড়াও পারিবারিক সম্পর্ক ভালো ছিল ওর সঙ্গে আমাদের।’