নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। তবে এবার স্থান হল আন্দামান সাগর। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আনদামানে নিম্নচাপের প্রভাব কি তবে বঙ্গোপসাগরেওপরবে ? । সেই উত্তরে সিলমোহর না দিলেও বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করছেন না আবহবিদরা। তাঁদের মতে, বছরের শেষের এই মাসগুলিতে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তা ওড়িশা সহ বাংলা উপকূলের দিকে বয়ে আসার আশঙ্কা নিয়ে কোনো খবর প্রকাশ হয়নি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে।
শনিবার সেটি নিম্নচাপের পরিনত হবে এবং পরের সপ্তাহের প্রথমদিকে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হবে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পূর্বাভাস জারি করতে পারে মৌসম ভবন। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও সেটির দক্ষিণ ভারত উপকূলের দিকে যাওয়ারই বেশি সম্ভাবনা। আবহাওয়া সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থার পূর্বাভাস দেখে আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও বর্তমানে পূর্ব ভারতে যেরকম বায়ুর গতিবিধি সেই অনুযায়ী ধরলে ঘূর্ণিঝড় বাংলা বা ওড়িশার দিকে নাও আসতে পারে। আসলে এই কদিন যাবৎ উত্তুরে বাতাসের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। এদিন দমদমের তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে এসছিল। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার বদলানোরও কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।