নিজস্ব প্রতিনিধি : ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে কেন্দ্রে। আর তারই দৌলতে অর্থ কমিশনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। যার মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর। তাই আসন্ন বৈঠক বেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই বিশ্লেষকদের মত।
দুই পক্ষের মধ্যে সব ঠিক থাকলে আগামী ৩ ডিসেম্বর নবান্নে ওই বৈঠকটি হবে। রাজ্যের তরফ থেকে এই বৈঠকে থাকতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র-সহ অনেকেই।আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অরবিন্দ পানাগড়িয়ার পৌরহিত্যে গঠিত হয়েছে ষোড়শ অর্থ কমিশন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ শেষের পরেই ষোড়শ অর্থ কমিশন কার্যকর হয়ে যাবে।
তার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে, তাদের চাহিদা, সমস্যা, এতদিনের কাজকর্ম সব বুঝে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করবে কেন্দ্রের অর্থ কমিশন। পরবর্তী পাঁচ বছর ওই নিয়মই চলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের আয়তন, জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, আর্থিক গতিবিধি, কর ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কমিশন।
সেই ভিত্তিতে আবার রাজস্ব ঘাটতি অনুদান ও পঞ্চায়েত-পুরসভার মতে স্থানীয় প্রশাসনে বরাদ্দও দিয়ে থাকে তাঁরা। পাশাপাশি গ্রামীণ পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, স্বচ্ছতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিপর্যয় মোকাবিলা, পরিকাঠামো ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের বরাদ্দ নির্দিষ্ট করে কমিশন। অন্যদিকে আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রের বরাদ্দ বন্ধ থাকায়, কমিশনের বরাদ্দ ঠিক করার আগে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।