বাংলার নিজের খবর,বাঙালির খবর

প্রেমের টানে ভারতে এসে এক তরুণী সহ পুলিশের জালে তিন বাংলাদেশি

দুজনের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিমি। তার মধ্যে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কলের মাধ্যমে কথাবার্তা চললেও দুজনের কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। ভিনরাজ্যে কাজ করলেও প্রেমিকার বারবার অনুরোধে কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির লালচাঁদ সরকার বাড়ি চলে আসেন। এরপর বাংলাদেশের ফরিদপুরের বাসিন্দা প্রেমিকা স্বপ্না রানির সঙ্গে দেখা করতে সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন প্রেমিক। এরপর ভারতে এসে বিয়ে করে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন তঁারা। প্রেমের টানে ভারতে এসে বিপদে পড়েন তঁারা। দালালকে টাকা খাইয়ে মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ির খোলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকলে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান তঁারা। সঙ্গে ছিলেন লালচঁাদের বন্ধু আপন বর্মন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ। শনিবার তিনজনকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে তিনদিনের পুলিশি রিমান্ডের দাবি করা হয়েছে।

তবে, ওই বাংলাদেশি তরুণীর কাছে পরিচয়পত্র পাওয়া গেলেও দুই তরুণের কাছে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। তঁারা সত্যিই ভারতীয় কি না তার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কুচলিবাড়ি থানার ওসি ভাস্কর রায় বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, প্রেমের টানে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ওই তরুণী। আর ওই তরুণ ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আবার ভারতে আসে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কিছু কারণ আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

ঘটনার সূত্রপাত একবছর আগে। ফরিদপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লালচঁাদের। প্রেমিক পরিযায়ী শ্রমিক। প্রেমিকার কথামতো সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশে তাঁরা দেখা করলে দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। তারপর খেঁাজ পান মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ির খোলা সীমান্তের। সীমান্ত দিয়ে দালালকে টাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তঁাদের সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা লালচঁাদের বন্ধু সেখানে আসেন। এরপর তাঁদের তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুরু হয় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ। স্বপ্নার কথায়, ‘একবছরের সম্পর্ক। বাড়িতে না জানিয়েই প্রেমিকের হাত ধরে ভারতে প্রবেশ করি। আমাদের ভালোবাসা মেনে নিয়ে ভারতে থাকার সুযোগ করে দিক প্রশাসন।’ এদিকে প্রেমিক বলেন, ‘স্বপ্নাকে বিয়ে করতে চাই। তাই বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সীমান্ত টপকে সেদেশে গিয়েছিলাম তাকে আনতে।’

মিডিয়া
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News